আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি যে, রাতে ঘুমানোর আগে আপনি কি কি করেন? তো আপনার উত্তর কি হবে? যদি আপনার উত্তর পার্মানেন্ট না হয় অর্থাৎ যদি আপনার কাছে কোনো fixed উত্তর না থাকে। তাহলে জেনে রাখুন যে রাতের র্যান্ডম হ্যাবিটস আপনার ব্রেনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দিচ্ছে।
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। ঘুমানোর আগের এই random habit গুলি আপনার ব্রেনের কার্যক্ষমতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দিচ্ছে।
তো প্রশ্ন হলো এই যে রাতে ঘুমানোর আগে এমন কি করা উচিত। specially রাতে ঘুমানোর দশ মিনিট আগে এমন কি করা উচিত যাতে আপনার ব্রেন এফিসিয়েন্সি এবং আপনার মেমোরি পাওয়ার ইম্প্রুভ হয়। এবং রাতে যেন আপনি একটি কোয়ালিটি স্লিপ কে এক্সপিরিয়েন্স করেন।
ঘুমানোর আগে এমন কি করা উচিত যাতে নিজেকে স্ট্রেস ফ্রি ফিল করতে পারি এবং নিজের ব্রেনও যেন হেলদি থাকে। ঠিক তার জন্যই তো আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি। তো চলুন তাহলে জেনে নেই,
সারাদিনের কাজের পর সকলেই চায় যে রাতে যেন তার একটি কোয়ালিটির বা পরিপূর্ণ ঘুম হয়। কিন্ত unfortunately এটা সবার সাথেই অর্থাৎ প্রায় ninety four পার্সেন্ট ব্যক্তির সাথেই হয় না।
অর্থাৎ সারা দিনের পরিশ্রমের পর যখন আমরা বিছানায় ঘুমোতে যাই। তখন কোনো মতেই আর ঘুম আসতে চায় না। ঘুম সময় আমরা একটি কমফোর্টেবল পোস্ট কে খুঁজতে থাকি। যে কিভাবে শুলে আমার ঘুম ভালো আসবে, আর এই comfortable পোস কে খুঁজতে গিয়েই আমাদের অনেক সময় পার হয়ে যায়।
আর এই ধরনের ঘটনা ঘটার পেছনের আসল কারণ হলো আপনার daily habits। তো চলুন আমরা জেনে নেই এমন কিছু habits কে যা আপনার daily follow করা উচিত।
Right Down Your Day
আজকের দিনটিকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করলেন? কি কি করলেন? কি ভুল করলেন? কি ঠিক করলেন, কি কি করতে পারতেন? কি করা উচিত হয়নি? কি করা উচিত ছিল? এই সকল জিনিসগুলিকে আপনি একটি ডায়েরিতে লিখে নিন। এছাড়াও আপনি আগামী দিন কি কি করতে চলেছেন? কিভাবে আপনি আগামীকালকে utilize করবেন, কোথায় যাবেন এগুলো কেও আপনি লিখতে পারেন।
এবার প্রশ্ন হলো এই যে এগুলা করে কি হবে? সত্যি তাইতো, ঠিক এটা করার ফলে দুটি বেনিফিটস রয়েছে। এক আপনি আগামীকালকে খুব ভালোভাবে ইউটিলাইজ করতে পারবেন। আপনি অযথা টাইম পাস করা থেকে বেঁচে যাবেন। এবং দ্বিতীয় আপনি self awareness হয়ে যাবেন। যখন আপনি আপনার দিনটির ব্যাপারে ভাবতে শুরু করেন। তখন আপনি জানতে পারেন,
যে আপনি কি কি ভুল করলেন, কি কি ঠিক করলেন, কোন কাজকে আপনি অন্যভাবে কিভাবে করতে পারতেন এই সকল বিষয়গুলি আপনার self awareness কে কয়েকশো গুণ বাড়িয়ে দেবে। আর এর ফলে আপনি নিজেকে অনেকটা relaxed feel করতে পারবেন।
এবং আপনি নিজেকে আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি করে নিতে পারবেন। আর যেহেতু আপনি সম্পূর্ণ দিনটিকে ভালোভাবে utilize করে নেবেন। তাই আপনার ঘুমও অনেকটা শান্তিপূর্ণ হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রবীণদের মানসিক সুস্থতার ৫টি উপায়
Your Favorite Activity
এই তিন মিনিটকে আপনি আপনার মতো করে use করতে পারেন। আপনাকে যে কাজটি করতে ভালো লাগে সেই কাজ আপনি পড়তে পারেন। যদি আপনাকে reading ভালো লাগে তাহলে কিছু সময়ের জন্য আপনি বই পড়ুন। যদি আপনাকে yoga বা exercise করতে ভালো লাগে তো এক্ষেত্রে আপনি কয়েক মিনিট stretching করতে পারেন। যদি আপনি লিখতে ভালোবাসেন তো এক্ষেত্রে আপনি কিছু লিখতে পারেন যেমন কবিতা গল্প, এক্সেট্রা।
যে টপিক আপনাকে লিখতে ভালো লাগে আপনি লিখতে পারেন। তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন যে এই সময়টিতে আপনি আপনার মোবাইল, পিসি ল্যাপটপ বা টিভি থেকে দূরে থাকবেন। অর্থাৎ এগুলিকে নিজের কাছে রাখবেন না। ফোন কখনো ইউজ করবেন শুনুন।
Listen to Ambient Music
এবার আপনি নিজের ফোনকে কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। মিউজিক কাকেই না ভালো লাগে না? আমাদের ব্রেনে মিউজিক একটি বড় পজিটিভ এফেক্ট হিসেবে কাজ করে। শুধু এটা ডিপেন্ড করে আপনার মিউজিক এর চয়েসের ওপর। অর্থাৎ আপনি কেমন ধরনের মিউজিক পছন্দ করেন?
যাই হোক, ঘুমানোর আগে কয়েক মিনিট মিউজিক শুনলে, আপনার ব্রেন অনেকটা কাম এবং রিলাক্স হয়ে যায়। সবার আগে নিজের ফেভারিট মিউজিক কে শুনলেও আপনার ঘুম অনেকটা ভালো হয়।
Thing What You're Great Full For
একটি quality slip এবং healthy brain এর জন্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো এই যে আপনি যেন সবসময় স্ট্রেস ফ্রি থাকেন। ঘুমানোর আগে দু মিনিটের জন্য আপনি নিজের চোখ বন্ধ করুন এবং ভাবুন যে আপনার কাছে এমন বহু জিনিস রয়েছে যা এই পৃথিবীর বহু লোকের কাছে নেই। আপনাকে আল্লাহ এমন কিছু দিয়েছে যা পৃথিবীর বহু লোকের কাছে নেই। এতে কি হবে এতে আপনার mind আপনার লাইফ এর positive সাইড গুলিকে ভালোভাবে focus করতে পারবে।
এবং সকল negative thought গুলিকে আপনার মধ্যে থেকে দূর করে দেবে। কিন্তু mostly আমরা কি করি আমরা রাতে ঘুমানোর আগে ঘটে যাওয়া সকল negative কথা বা event গুলোকে ভাবতে থাকি। যার কারণে আমাদের mind চঞ্চল হয়ে যায়।
আর এর ফলে আমাদের ঘুম আসতে চায় না। আর যদিও বা ঘুম আসে তো তা অতটা quality ঘুম হয় না। কিন্তু এর অপরদিকে যখন আমরা ঘুমানোর আগে আমাদের লাইফের সকল পজিটিভ বিষয়গুলিকে ভিসুয়ালাইস করি তখন আমাদের মাইন্ড পজিটিভ সাইট কে ফোকাস করে। আর এই পজিটিভিটি কোয়ালিটি ঘুমের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বহু studies দের পাওয়া গেছে যে gratitude আমাদেরকে অনেকটা optimistic feel করায়। আমাদের মধ্যে positivity কে অনেকটা বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদের মধ্যে থেকে স্ট্রেস এবং অ্যানজাইটির পরিমাণকেও অনেকটা কমিয়ে দেয়। তো সিম্পলি ঘুমানোর আগে,
নিজের চোখ বন্ধ করুন এবং সেই সকল জিনিস, ব্যক্তি সম্পর্ক health, power, knowledge, friend সেই সকল জিনিস গুলির ব্যাপারে আপনি ভাবুন যা আপনার কাছে আছে। এবং যা বহু লোকের কাছে নেই, বিশ্বাস করুন এই ট্রিকটি আপনাকে অনেকটা পজিটিভ ফিল করাতে সাহায্য করবে।আর শুধু তাই নয় আপনি নেক্সট মর্নিং অনেকটা রিফ্রেশড এবং ইনারজাইড feel করতে পারবেন নিজেকে।
আশা করছি যে এবার আপনি জানতে পারলেন, যে ছোয়ার ঠিক বা ঘুমানোর ঠিক দশ মিনিট আগের সময়টিকে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। এবং কি কি করতে হয়? এই method গুলোকে ব্যবহার করলে আপনি আপনার ব্রেইন এর কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারবেন ঠিকই তার সাথে সাথে আপনি রাতে শান্তি মতো ঘুমাতে পারবেন। পোষ্ট টি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে ডিম খাবেন কেন | প্রতিদিন সকালে ডিম খাওয়ার উপকারিতা