মেছতা কেন হয়, মেছতা দূর করার উপায়

হাসিবুর
By -

মেছতা কেন হয়, মেছতা দূর করার সহজ উপায় — মেলাসমা বা মেছতা নারীদের অনেক বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে মুখে কালো দাগের সৃষ্টি হয়। এটার ফলে ঘরের বাইরে চলাফের করতে বিব্রত হতে হয়। পুরুষদেরও কিন্ত মেছতা হয়ে থাকে, যার সঙ্গে সূর্যের আলোর গভীর সম্পর্ক আছে। মেছতা কেন হয়, মেছতা দূর করতে করণীয় কি, মেছতার সঙ্গে কোন কোন বিষয়গুলো জড়িত এবং মেছতা রোগের চিকিৎসা কী বিস্তারিত জানতে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

মেছতা বা মেলাসমা মুখের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাধারণত নাকের ২ পাশে হয়ে থাকে। কালো দাগ স্পষ্ট বোঝা যায়। মূলত ২-৩ কারণে এই মুখের মেছতা সমস্যা হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল গ্রহণ করলে, অন্তঃসত্ত্বা নারী সন্তান প্রসব করার পরে এবং নারী ও পুরুষ উভয়ের সূর্যের আলোর কারণে মুখে মেছতা হতে পারে। ছোট খাটো আরো কিছু কারণে মুখে মেছতা হলেও প্রধানত দায়ী এই ৩টি বিষয়।

এখন দেখা যাচ্ছে নারীদের পাশাপাশি পুরুষ মানুষের মুখেও মেছতা হচ্ছে। কেননা ছেলেদের ত্বকের মাঝে সূর্যের আলো বেশি পড়ে থাকে। আমাদের ত্বক সূর্যের তাপ শোষণ যোগ্য না হলে সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গা কালো হতে থাকে। সাধারণত মেলাসমা বা মেছতা বংশগতভাবে হয়না। তবে হ্যাঁ মায়ের ওয়াইর স্কিন থাকলে তা মেয়ে সন্তান পেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ত্বকের মান খুবি গুরুত্বপূর্ণ। 

আরও পড়ুনঃ কি কারণে কিডনিতে পাথর হয়

সূর্যের আলোর ক্ষেত্রে একেক জনের ত্বক একেক রকম ভাবে সাড়া দেয়। যেমন- ফর্সা ত্বক এক ধরনের সাড়া দেয়, কালো ত্বকে ভিন্ন ধরনের সাড়া মেলে। আবার কমন স্কিনগুলির সাড়া এক ধরনের। শরীরের ত্বকের উপরে ভিত্তি করে কালো দাগগুলি দৃশ্যমান হয়ে থাকে। এসকল বিষয়ে আমাদের সবাইকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

মেছতা দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো এপিডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন সুপার ফেসিয়াল। অন্যটি হলো ডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন। একটি লাইট রয়েছে, যা ব্যবহার করে মেছতা কোন শ্রেণীর সেটা খুব সহজেই দেখা সম্ভব। এপিডার্মাল সুপার ফেসিয়াল যদি হয়ে থাকে তবে সঠিকভাবে একটি সানব্লক ব্যবহার করি, যাতে করে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে এটা না হতে পারে। 

ঘরের বাইরে বাহির হওয়ার পূর্বে সুরক্ষার জন্য সানব্লকটাকে ব্যবহার করতে হবে। রাতে ফিরে আবার যেকোনো একটি ব্লিচিং অ্যাজেন্ট ব্যবহার করলেই হবে। ব্লিচিং অ্যাজেন্টগুলোর মাঝে সাধারণত হাইড্রোকুইনোন থাকে, ফলিক এসিড থাকে, এসকরবিক এসিড থাকে, এসকল দিয়ে আমরা ব্লিচ করবো, ব্লিচ করে দিলে ইনশাআল্লাহ আমাদের মেছতা চলে যাবে।

অনেক সময় হাইড্রোকুইনোন ব্যবহার করে ব্লিচ করার পরেও মুখে মেছতা ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। সেই ক্ষেত্রে আমরা একটা ক্লিগমেজ ফর্মুলা দিয়ে থাকি। অর্থ্যাৎ হাইড্রোকুইননের সঙ্গে একটু স্টেরয়েড, একটু ভিটামিন-এ ডেরিভেটিভ, ট্রিটিনাইনের কম্বিনেশন করে রাতের বেলায় ব্যবহার করলে মুখের মেছতা চলে যায়। তারপরেও কারো মেছতার সমস্যা চলে আসলে কেমিক্যাল পিলিং করতে হবে। ট্রাইক্লোর এসিটিক এসিড, ড্রাইকোলিক এসিড দিয়ে পিলিং করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন উপসর্গ

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn more
Ok, Go it!