ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা — বর্তমান সময়ে দ্রুততার সাথে যোগাযোগ করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। কিছু কিছু মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে তাদের ভালো কাজের জন্য আবার কিছু কিছু মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন মন্দ কাজের জন্য। ফেসবুক ব্যবহার করার যেমন সুফল আছে ঠিক তেমনি আছে ফেসবুক ব্যাবহারে কুফল।
আপনার সন্তান সন্তুতি ফেসবুক ব্যবহার করে অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে নাতো। প্রত্যেক মাতা-পিতাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফেসবুক সহ অনন্যা যেসকল বিষয় আছে সেগুলো পরিমাণ মতো ব্যবহার করার জন্যে তাদেরকে বোঝাতে হবে। কেননা অতিমাত্রায় কোনো কিছুই ভালো না। চলুন জেনে নেই ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে।
ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা
দ্রুততার সাথে যোগাযোগ করা যায়ঃ ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা একজন অন্যজনের সঙ্গে খুবই দ্রুততার সাথে যোগাযোগ করতে পারি।
বিশ্ব সংবাদঃ বিশ্বের যেকোনো সংবাদ দ্রুততার সাথে দেখতে পাচ্ছি।
সোশ্যাল মিডিয়াঃ যেকোনো খবর দ্রুততার সাথে পৌঁছে দিতে সক্ষম এই ফেসবুকের মাধ্যমে।
ব্যবসা: অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস করে অনেকেই আছেন যারা সফলতা লাভ করছে শুধুমাত্র এই ফেসবুকের মাধ্যমে।
ব্যক্তিত্বের প্রকাশঃ ফেসবুক মানুষের জীবনের কিছু সফলতা অন্যের কাছে প্রকাশ করতে আরো সহজ উপায়ে কাজ করে।
ফেসবুক ব্যবহারের এই সকল সুবিধার পাশাপাশি ফেসবুকের কিছু অসুবিধাও আছে। চলুন জেনে নেই ফেসবুক ব্যবহারের অসুবিধা গুলো সম্পর্কে।
ফেসবুক ব্যবহারের অসুবিধা
বিজ্ঞানীরা বলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতি যারা নেশার মতো আসক্ত হয়ে পড়ছে তাদের জন্যে ফেসবুককে বলেছে কোকেনের স্বরূপ।
মানসিক সমস্যাঃ অতিরিক্ত পরিমাণে ফেসবুক ব্যবহার করার কারণে মানসিক বিকাশে সমস্যার সৃষ্টি থাকে।
দূরত্বঃ অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার করা সহ মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ/ডেক্সটপ ব্যবহার করার কারণে পারিবারিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করে যার কারণে দূরত্ব বাড়িয়ে তোলে। যেমন- আগে মানুষ অবসর সময়ে পরিবারের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটিয়ে দিতো। আর বর্তমানে একটু সময় পেলে হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন।
চোখের সমস্যাঃ অতিরিক্ত স্মার্টফোন বা ফেসবুক ব্যবহার করার কারণে মারাত্মক ভাবে প্রভাব পড়ে আপনার শারীরিক সম্পদের উপরে।
সময় নষ্টঃ অনেক সময় দেখা যায় কিছু মানুষ গুরুত্বপূর্ণ সময়কে তাদের কাজে না লাগিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করেই সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়কে কাটিয়ে দেয়।
ভুল তথ্য প্রচারঃ অনেকেই ফেসবুকে সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই না করে ভুলভাল সকল তথ্য মানুষের মাঝে শেয়ার করে থাকে।
শিশুর মানসিকতার বিকাশঃ শিশুরা বর্তমান সময়ে গেমসের মাধ্যমে নেশার মতো করে তাদের সময়ে কাটিয়ে দেন।
হ্যাকারঃ হ্যাকাররা ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার সকল গুরুত্বপূর্ব ইনফরমেশন সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে।
তোহ চলুন আমরা সবাই বিশাল বড় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সঠিক ভাবে ব্যবহার করি। ফেসবুকের অপব্যবহার করা থেকে বিরত থাকি আর অযথা আমাদের মূল্যবান সময়গুলোকে নষ্ট না করি।