সিলেটের দর্শনীয় স্থান সমূহ - সিলেটের কিছু দর্শনীয় স্থান - প্রকৃতিকন্যা সিলেটের রয়েছে অপরুপ সৌন্দর্য। হাওর-নদী-পাহাড়ের সিলেটে আছে অরূপ অরণ্যানীও। দেখতে গেলে চোখ জুড়িয়ে দেবে সবুজ চা-বাগান। পাশাপাশি আরও এমন জায়গা আছে যেগুলো দেখলে আপনার প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই প্রাচীন জনপদ বনজ, খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এ সিলেট জেলা।
সিলেটে বসবাসকারী বিভিন্ন আদিবাসীদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি। সিলেটে আদিবাসীদের মধ্যে মনিপুরী সম্প্রদায়ের মনিপুরী নাচ বিখ্যাত। চা-বাগান, জাফলং, রাতারগুল জলাবন, হাকালুকি হাওর, লালাখাল, ভোলাগঞ্জ, বিছানাকান্দি, তামাবিল, পাহাড়, ঝরনা সব মিলিয়ে নানা বৈচিত্র্যের সম্ভার এই সিলেট দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী।
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও সিলেটের রয়েছে প্রসিদ্ধ ইতিহাস। প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, চা-বাগান, বিভিন্ন রিসোর্ট, হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.) এর মাজারসহ সিলেটে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান থাকায় সিলেটকে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন নগরী বলা যেতেই পারে।
(toc) #title=(Table of Content)
সিলেটের দর্শনীয় স্থান সমূহ
সিলেটের দর্শনীয় স্থান সমূহ - সিলেটের কিছু দর্শনীয় স্থান সমুহ নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
১। জাফলং
সিলেটে আসলে সর্বপ্রথম আপনার যাওয়া উচিত সিলেটের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য জাফলং এ। সিলেটে ঘুরতে আসবেন আর জাফলং ঘুরতে যাবেন না সেটা একপ্রকার অসম্ভব। জাফলং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা দিতে গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ফুরিয়ে যাবে তাও শেষ হবে না। জাফলং এর থেকে জাফলং এ যাওয়ার রাস্তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে বেশি মুগ্ধ করবে।
অবস্থানঃ জাফলং এর অবস্থান সিলেট থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায়। তমাবিল সীমান্তের ঠিক পাশে অবস্থিত জাফলং। জাফলং গেলে সামনেই দেখতে পারবেন ভারতের মেঘালয় ও ডাউকি শহর।
(ads)
যেভাবে যাবেনঃ সিলেট থেকে জাফলং যেতে সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লাগে। সিলেট থেকে লোকাল বাসে করে বা সিএনজি নিয়ে অথবা প্রাইভেট কার ভাড়া করে জাফলং যেতে পারেন।
মূল আকর্ষণঃ জাফলং এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে মেঘালয়ের মেঘের কোল থেকে নেমে আসা পাহাড় সেই সাথে স্বচ্ছ ঠান্ডা পানির পিয়াইন নদী। নদীর তলদেশে আছে সুন্দর লাল, সাদা, কালো, ধূসর পাথর। এছাড়াও আছে জিরো পয়েন্ট, ঝুলন্ত ব্রিজ, স্থানীয় পাথরের সামগ্রী, পিকনিক স্পট ,খাসিয়া পল্লী এবং একই সাথে নদী আর পাহাড়ের এক অপরূপ সম্মিলন।
আরো পড়ুনঃ বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি স্ট্যাটাস এবং বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ নিয়ে ক্যাপশন
২। রাতারগুল
সিলেটের সুন্দরবন নাম খ্যাত রাতারগুল। রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট হিসেবে সুপরিচিত। দেশের একমাত্র মিঠা পানির এই জলা বনে খুঁজে পাওয়া যায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্যময় অবস্থান। নৌকা ভ্রমণের মধ্য দিয়ে এই আশ্চর্য প্রকৃতিকে একদম কাছ থেকে দেখতে পাবেন। রাতারগুলের এই বোন আপনাকে বেঁধে রাখবে প্রকৃতির মায়াবী সৌন্দর্যের বাঁধনে।
অবস্থান: রাতারগুল সিলেট থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোয়ানঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে। রাতারগুলের সাথেই রয়েছে গোয়াইন নদী এই নদী থেকে উৎপন্ন চ্যানেল রাতারগুলের মধ্যে দিয়ে মিশেছে চেঙ্গির খালে।
(ads)
যেভাবে যাবেন: রাতারগুল যাওয়ার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে সিলেট শহর থেকে লোকাল সিএনজি চালিত অটোরিকশা বা প্রাইভেটকার রিজার্ভ করে। সিলেট থেকে এয়ারপোর্ট বাইপাস হয়ে মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টায় চলে যেতে পারেন রাতারগুল। গাড়িতে গিয়ে মটর ঘাট নামবেন। সেখান থেকে ভাড়া করতে হয় নৌকা। এই নৌকায় আপনাকে নিয়ে যাবে গহীন বনে একদম প্রকৃতির কাছে।
মূল আকর্ষণ: বাংলাদেশের একমাত্র রাতারগুলেই পাওয়া যায় বন্য কাঠগোল। দেখা মিলবে আরো নানা বিরল প্রজাতির উদ্ভিদের। নৌকা ভ্রমণের সময় আপনার চোখে পড়বে, বানর কাঠবিড়ালি সাপ সজারু ও নানা প্রজাতির পাখির। রাতারগুলের আশেপাশে হোটেল বা থাকার তেমন ব্যবস্থা নেই। তাই চেষ্টা করবেন একদিনেই ঘুরে আসতে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা
৩। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
মেঘালয়ের কোলে ঘেঁষে সাদা পাথরের দীপ যেখানে স্বচ্ছ ঠান্ডা পানির ঠিক অপর পাশেই দেখা যাবে প্রতিবেশী ভারতকে। নদী পাথর আর পাহাড়ের এই অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করবে।
অবস্থান: সাদা পাথরের অবস্থান সিলেট শহর থেকে অদূরে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ হাইওয়েতে ভোলাগঞ্জ উপজেলায়।
(ads)
যেভাবে যাবেন: সিলেট থেকে সাদা পাথর যাওয়ার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে সাদা পাথর পরিবহন বা বিআরটিসি বাস। মাত্র ১ ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন ভোলা গঞ্জে। সেখান থেকে পাওয়া যায় নৌকা আর এই নৌকায় চড়ে 15-20 মিনিট পৌঁছে যাবেন সাদা পাথরের মুল স্পটে।
মূল আকর্ষণ: সাদা পাথরের মূল আকর্ষণ হচ্ছে প্রকৃতি। আর বর্ষাকালে এই প্রকৃতির সৌন্দর্য বেড়ে যায় দ্বিগুণ। বর্ষাকালে স্বচ্ছ পানির নিচে সাদা পাথর সাদা বলে মেঘালয় পাহাড় আর উড়তে থাকা মেঘের খেলা ঘরে পরিণত হয় এই জায়গা।
৪। বিছনাকান্দি
সিলেট থেকে মাত্র 40 কিলোমিটার দূরে রুস্তমপুর ইউনিয়নের জয়ন্তাপুর উপজেলায় বিছনাকান্দির অবস্থান। খাসি পাহাড় আরপিআই নদীর উপরে অবস্থিত এই জায়গায় যেতে হয় হাদারপার থেকে।
যেভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে সিএনজি বা অটো রিক্সা করে এয়ারপোর্ট রোড বাইপাস হয় মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় পৌঁছে যেতে পারেন হাদারপার। হাদারপার থেকে এক ঘন্টায় নৌকা ভ্রমণে পৌঁছে যাবেন বিছানাকান্দি।
মুল আকর্ষণ: বিছানাকান্দির মূল আকর্ষণ হলো পাহাড়ার মেঘের দৃশ্য। নৌকায় ভ্রমন কালো চোখে পড়ে ছবির মত সাজানো খাসি পাহাড়ের সারি।
আরো পড়ুনঃ ডায়ালাইসিস কত দিন পর পর করতে হয়
৫। লালখাল
এখানে পুরো ভ্রমণ করতে হয় নৌকায়। গারো নীল পানির উপর শান্ত গতিতে চলে যায় নৌকা সেইসাথে আপনি নৌকায় বসে উপভোগ করতে পারেন মেঘালয়ের পাহাড় চা বাগান আর সবুজেগেরা ছোট ছোট দ্বীপ।
যেভাবে যাবেন: সিলেট থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন সারিঘাট। সারিঘাট থেকে পাওয়া যায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা। এই নৌকায়ই সম্পূর্ণটা ঘুরতে পারবেন।
মূল আকর্ষণ, লালখালের মুলাকর্ষণ হচ্ছে এর সবুজ নীল পানি। গারো নীলজল থেকে শুরু করে সবুজ জল এবং স্বচ্ছ জলের এক অবিশ্বাস্য পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন নৌকা ভ্রমণের সময়।
৬। শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত হলেও এটি সিলেটের একদম কাছে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি। এটি চায়ের শহর নামে বেশি পরিচিত। সিলেট থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল।
যেভাবে যাবেন: সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার সবচাইতে সহজ রাস্তা হচ্ছে রেলপথ। সিলেট থেকে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামগামী যেকোন ট্রেনেই শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। এছাড়াও সিলেট শহর থেকে বাস পাওয়া যায়। সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে ২ ঘন্টা সময় লাগে।
মূল আকর্ষণ: শ্রীমঙ্গলের মূল আকর্ষণের মধ্যে অন্যতম হলো, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া, লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, চা বাগান, সাত রং এর চা ,গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট ইত্যাদি।
৭। চা বাগান
সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার সেরা কয়েকটি জায়গার মধ্যে একটি হচ্ছে মালনীছড়া চা বাগান। এটি বাংলাদেশের প্রথম চা বাগান হিসেবে ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজে ঘেরা এই চা বাগানে প্রবেশ করার সাথে সাথেই দেখতে পারবেন চা শ্রমিকদের বসতবাড়ি রাবার বাগান এবং সবুজে ঘেরা টিলার রাস্তা।
যেভাবে যাবেন: সিলেট শহরের যে কোন জায়গা থেকে সিএনজি চালিত অটো রিক্সায় মালিনীছড়া যেতে হবে। আম্বরখানা থেকে মালিনীছড়া পৌঁছাতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট।
আরো পড়ুনঃ কিস্তিতে দেনমোহর পরিশোধের নিয়ম
৮। হযরত শাহজালাল ( র.) এর মাজার
হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার সিলেট শহরের ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান। সিলেট শহরের মধ্যে অবস্থিত এই মাজার সিলেটে আগত পর্যটকদের প্রথম দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে একটি।
যেভাবে যাবেন: আম্বরখানা থেকে পায়ে হেঁটে অথবা রিক্সায় মাত্র ১০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায় হযরত শাহজালাল মাজারে।
৯। খাদিমনগর পার্ক
খাদিমনগর পার্ক সিলেট শহরের খুবই কাছে অবস্থিত। সবুজে শ্যামলে ঘেরায় এ পার্কে জীববৈচিত্রের অপরূপ মিলন দেখা যায়। এই পার্ক ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে স্বীকৃত পায় মূলত ছয়টি চা বাগান দিয়ে ঘেরা এই পার্ক। প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে মনকে ভারহীন করতে চাইলে এই পার্কে ঘুরতে যেতে পারেন।
যেভাবে যাবেন: সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে বা গাড়ির মাধ্যমে খাদিমনগর যাওয়া যেতে পারে। সিলেট শহর থেকে এখানে পৌঁছাতে এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে।
১০। আলী আমজাদের ঘড়ি
সিলেট শহরে অবতরণ করার পর প্রথমেই যে দর্শনীয় স্থানগুলো মানুষ দেখতে যায় তার মধ্যে আলী আমজাদের ঘড়ি একটি। শাহজাদি জাহান কর্তৃক স্থাপিত এই ঘড়ি নামকরণ করা হয় শাহজাদি জাহানের পুত্র আলী আমজাদ এর নাম অনুসারে। সিলেটের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে এই ঘড়ি।
যেভাবে যাবেন: সিলেট শহরের মধ্যে অবস্থিত এই ঘড়ি। সিলেট শহরে নামার পর পায়ে হেঁটেই দেখতে যেতে পারেন এই ঘড়ি।
সিলেটে থাকবেন কোথায়
সিলেটের দর্শনীয় স্থান গুলোতে ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সিলেট শহরে থাকতে হবে। নিচে সিলেটের কয়েকটি হোটেলের নাম ও নাম্বার দেওয়া হলো:
- সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস : ফোন :০১৭১৬০৯৫৮৩৬
- হোটেল নির্ভানা ইন : মোবাইল নাম্বার- +৮৮০৮২১২৮৩০৫৭৬, ০১৭৩০০৮৩৭৯০
- হোটেল স্টার প্যাসিফিক: মোবাইল নাম্বার- ০১৭১৩৬৭৪০০৯, ০১৯৩৭৭৭৬৬৩৩,
- হোটেল অনুরাগ:মোবাইল নাম্বার- ৭১৫৭১৭, ৭১৪৪৮৯, ০১৭১২০৯৩০৩৯
- হোটেল সুপ্রীম, নাম্বার – ০১৭১১১৯৭০১২
- হোটেল সানফ্লাওয়ার : ফোন নাম্বার :৮৮-০৮২১-৭১৩৯১৪
- হোটেল এশিয়া : মোবাইল :০১৯২২৫৯৫৮৪১, ০১৯২২৫৯৫৮৪০
- হোটেল সিলেট ইন : ফোন: ৮৮-০৮২১-৮১১৯৪৫ ১০-
- হোটেল আল-আরব: স্থান: ০৮২১-৭২৪০৫৯, ০১৭২১৮১২৬৬২
- হোটেল উর্মি: নাম্বার : ০৮২১-৭১৪৫৬৩, ০১৭৩৩১৫৩৮০৫
- হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল, নাম্বার -০১৭৩১৫৩৩৭৩৩, +৮৮০৮২১২৮৩৩৪০৪
কি খাবেনঃ খাবারের জন্য সিলেট শহরে অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। এখানে আপনি সাধারণ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো খেতে পারবেন।
সিলেটের দর্শনীয় স্থান সমূহ সর্বশেষ
ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় সকল কিছু সাথে রাখবেন যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র, স্থানীয় জরুরী ফোন নাম্বার সমূহ, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার ,প্রয়োজনীয় ওষুধ ,অতিরিক্ত টাকা পয়সা , হোটেলের ঠিকানা ও নাম্বার ইত্যাদি। এছাড়াও যে কোন জরুরি অবস্থায় টুরিস্ট পুলিশের সাথে ৯৯৯ এ ফোন করে যোগাযোগ করুন।