Friday , March 14 2025

ওয়্যারলেস চার্জিং যেভাবে কাজ করে

ওয়্যারলেস চার্জিং যেভাবে কাজ করে — বিদ্যুৎপ্রবাহের ক্ষেত্রে ম্যাগনেটিক বা চৌম্বক অপরিহার্য বস্তু। ইলেকট্রিসিটি ও ম্যাগনেটিককে তাই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলা হয়। যখন ইলেকট্রিসিটি প্রবাহিত হয়, তখন ইলেকট্রিক ম্যাগনেটিক অনূভূতি হয়।  ১৯ শতকের শেষের দিকে ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টারমাইন্ড নিকোলা টেসলা প্রথমবার দেখান, যখন ২টি পাওয়ারফুল চৌম্বক একে অপরকে স্পর্শ করে ঠিক তখন উৎস থেকে তাদের মাঝে একটি শক্তি স্থানান্তর হয়ে থাকে।

টেসলারের সেই আবিষ্কার সে সময় খুব সাড়া ফেলে। তবে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি হয় তার ১০০ বছর পর এসে। টেসলারের সূত্র ধরে এখন তৈরি হচ্ছে স্মার্টফোনের ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি। তারের ঝামেলা এড়িয়ে ফোনটিকে চার্জ করতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এনেছে ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির ফোন। ওয়্যারেলেস চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও এটি কীভাবে কাজ করে সে প্রক্রিয়াটি আমরা জানি কি? না জানলে চলুন জেনে নিই।

বিদ্যুৎপ্রবাহের ক্ষেত্রে ম্যাগনেটিক বা চৌম্বক অপরিহার্য বস্তু। ইলেকট্রিসিটি ও ম্যাগনেটিককে তাই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলা হয়। যখন ইলেকট্রিসিটি প্রবাহিত হয় তখন ইলেকট্রিক ম্যাগনেটিক অনূভূতি হয়। ওয়্যারেলস চার্জিং প্রযুক্তির ফোনের হার্ডওয়্যারে একটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক কয়েল থাকে; যা কপারের তৈরি। এটি থাকে ফোনটির পিছনের দিকে। একই ধরনের আরেকটি শক্তিশালী কয়েল থাকে ওয়্যারলেস চার্জারের ভেতরে। যেটি ইলেকট্রিসিটির সঙ্গে প্লাগ দিয়ে সংযোগ ঘটানো হয়।

এবার সেই ইলেট্রিক সকেট থেকে কেব্‌লের মাধ্যমে ইলেকট্রিসিটি চার্জারের কয়েলে আসে। চার্জারের কয়েলে তখন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক একটা অনূভূতি হতে থাকে। এখন স্মার্টফোনটি অর্থাৎ হার্ডওয়্যারের যে পাশে কয়েলটি থাকে, সেটি যখন চার্জারের সংস্পর্শে আসে তখনি মোবাইল ফোনে চার্জ শুরু হতে থাকে।

ওয়্যারলেস চার্জিং যেভাবে কাজ করে

একটা নিরাপদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এইভাবে একটি কয়েল থেকে আরেকটি কয়েলে ইলেকট্রিক শক্তি স্থানান্তর হয়। যেখানে স্মার্টফোন চার্জ হওয়ার ক্ষেত্রে কয়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকেই মনে করেন, তাহলে তো ওয়্যারলেস চার্জারের কাছাকাছি থাকলেও স্মার্টফোনে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ পৌঁছাবে, আর চার্জ হতে থাকবে! না, সেক্ষেত্রে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ পৌঁছে গেলেও যতক্ষণ পর্যন্ত দুটি কয়েল সংস্পর্শে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত চার্জ শুরু হবে না।

কেব্‌ল দিয়ে চার্জ হতে যে পরিমাণ সময় প্রয়োজন হয়, ওয়্যারলেস চার্জারে তার অন্তত দ্বিগুণ সময় প্রয়োজন হয়। তাই প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ ও খরচ কমাতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি ওয়্যারলেস বললেও কিন্তু এখানে কেব্‌লের প্রয়োজন হচ্ছে। চার্জার কিন্তু ইলেকট্রিসিটির সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে।

অনেকেই এই প্রক্রিয়ায় চার্জিংকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন এবং তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মানেন। কিন্তু সহজ কিছুর জন্য নতুন প্রযুক্তিতে কোনো না কোনো বিষয়ে তো ছাড় দিতেই হবে।

About sohansumona000@gmail.com

Check Also

বাইক কেনার আগে করনীয় – বাইক কেনার সময় করনীয়

নতুন মোবাইল কেনার পর করণীয় বাইক কেনার আগে করনীয় – বাইক কেনার সময় করনীয় – বাইক কেনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *